ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় একই পরিবারের নয়জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মরদেহ। কোথাও তিনটি, কোথাও দুটি। এভাবেই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে রয়েছে মোট ৯টি মরদেহ।
সাংলি জেলার একটি পরিবারের এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২০ জুন) সাংলি জেলাধীন মহিশাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিন, সকালে পোপাট ভ্যানমোর ও মানিক ভ্যানমোর নামের দুই ভাইয়ের পরিবারের নয় সদস্যকে তাদের নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় গ্রামবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
নিহতেরা হলো পোপাট ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৫২), সঙ্গীতা পোপাট ভানমোর (৪৮), অর্চনা পোপাট ভানমোর (৩০), সুভম পোপাট ভানমোর (২৮), মানিক ইয়ালাপ্পা ভানমোর (৪৯), রেখা মানিক ভানমোর (৪৫), আদিত্য মানিক ভানমোর (১৫), অনিতা মানিক ভানমোর (২৮) ও আক্কাটাই মানিক ভানমোর (৭২)।
নিহতদের মধ্যে ওই দুই ভাইয়ের মা, তাদের স্ত্রী ও চার সন্তান ছিল। পুলিশের ধারণা তারা সবাই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ এটিকে একটি চুক্তিবদ্ধ আত্মহত্যার ঘটনা বলে সন্দেহ করছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ভ্যানমোর ভাইদ্বয় গ্রামের বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ ধার করেছিলেন। অনেকের ধারণা, ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে হতাশায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দুই ভাই।
সাংলির পুলিশ সুপার দীক্ষিত গেদাম বলেছেন, ‘বাড়িটিতে আমরা ৯ জনের মরদেহ পেয়েছি। ৩ জনের মরদেহ একসঙ্গে একটি ঘরে, বাকি ৬ জনের মরদেহ বাড়ির বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।’
তারা সবাই আত্মহত্যা করেছেন কি না, এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাংলির পুলিশ সুপার বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। তারা মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে।’
তবে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তিনি ধারণা করছেন তাঁরা সবাই আত্মহত্যা করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাই হোক ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ। ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ- ওই পরিবারেই সবাই বিষাক্ত কিছু খেয়েছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।